সকাল ন’টা…
ব্যাঙ্গালোরে নিজের 2bhk flat এর লিভিং রুমে বসে কিছু দরকারি মেইল দেখছিল তিস্তা, হঠাৎ ওর ল্যাপটপে একটি নতুন মেইল ঢোকে Invitation For School-Reunion… মেইলটা দেখে মুখে হাসি খেলে যায় ওর। হাতে অনেকগুলো ছুটি পড়েছিল, তাই ঠিক করে ও যাবেই… সেইমতো তৎক্ষণাৎ টিকিট বুক করে দেয় আর অপেক্ষা করে কবে যাবে ও নিজের শহরে… এভাবেই দেখতে দেখতে সাতদিন কেটে গেল।
সাতদিন পর…

ঘড়ির কাঁটায় তখন দশটা।এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলো উজ্জ্বল শ্যমবর্ণ, বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার অধিকারী বছর পঁচিশ এর একটি মেয়ে - তিস্তা বোস।  
বাইরে বেরিয়ে  দেখলো ওদের বাড়ির গাড়ি ওর জন্য অপেক্ষা করছে। ও গিয়ে বসলো, তারপর এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে গেলো । 
এরপর বাড়ি ফিরে মা বাবার আদর-যত্ন, দুপুরে ওর পছন্দের খাওয়া-দাওয়া, পরিবারের সাথে আড্ডা, খুনশুটি, হাসি-মজায় কাটলো, তারপর বিকেলে পুরোনো বন্ধুরা ওর বাড়িতে এলো, আর সবাই মিলে অনেকদিন পর মন ভরে আড্ডা দিলো… সব মিলিয়ে এলাহী ব্যাপার। অনেকদিন পর মন খুলে মজা করছে ও| বন্ধুদের আসরে রিউনিউন নিয়ে কথা হচ্ছিল, সেখান থেকে সব পুরোনো বন্ধুরা কে কোথায় আছে,  কী করছে, এসব বিষয়ে আলোচনা চলতে চলতে হঠাৎ করে সেই নামটা উঠে এলো, যার সাথে প্রায় সাত বছর কোনোরকম যোগাযোগ নেই ওর… সাত বছর আগের একটি ঘটনা ভুল-বোঝাবুঝি বহুপুরোনো একটি মানুষকে তিস্তার জীবন থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলেছিলো, নদী । 
তবে সত্যিই কি মুছে গিয়েছিলো সে ?…
একজন বন্ধুর ডাকে আচমকা নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো তিস্তা,  এরপর সবার সাথে স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে কিছু আলোচনা করার পর সবাই বাড়ি ফিরে গেলো আর যাওয়ার আগে আগামীকালের সব পরিকল্পনা ওকে মনে করিয়ে দিলো আরো একবার। রাতের বেলা শুয়ে পুরোনো কথা ভাবছিলো তিস্তা।
 নদী মৈত্র, ক্লাস টু - এ তিস্তার স্কুলে নতুন এসেছিল শান্তশিষ্ট মেয়েটি, প্রথমে কারোর সাথে কথা না বললেও একরকম তিস্তার জোরেই বন্ধুত্ব হয়েছিল ওদের। তারপর সেই যে শুরু… শান্তশিষ্ট নদী আর উচ্ছল ঝর্ণার মতো তিস্তা, ওদের জুটিকে সকলেই হরিহর-আত্মা বলতো, আবার একই পাড়ায় বাড়ি হওয়ায় দুজনের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল দুজনার। ওদের বন্ধুত্ব এতটাই গাঢ় ছিল যে তৃতীয় কেউ এলেও বেশিদিন থাকতো না, একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিল ওরা, একসাথে পড়াশোনা করা, স্কুল যাওয়া, গান শেখা, হইহুল্লোড়,  খুনসুটি -  সব নিয়ে দারুন চলছিল, এরপর মাধ্যমিক পরীক্ষার পর পরিকল্পনা মতো তিস্তা সায়েন্স নিলো আর নদী আর্টস।
সব ঠিকই চলছিল কিন্তু stream আলাদা আর তিস্তার সায়েন্স নেওয়ার জন্য পড়ার চাপ দিনেদিনে বেড়ে চলেছিল, সেজন্য ওদের তেমন দেখা হতো না, যদিও প্রথমদিকে তিস্তাই ফোন করতো,  তবে নদীর খুব একটা সময় হতো না। তিস্তা বুঝতে পারতো ওদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে, ও খুব চেষ্টা করতো যাতে এমন না হয়, তবে পুরোপুরি হয়ে উঠতো না। আর নদীও কেমন পাল্টে যাচ্ছিল। একই স্কুলে পড়লেও আর একসাথে টিফিন খেত না, গল্প করতো না, কেমন ইগনোর করে যেত ওকে! তিস্তার কষ্ট হতো, কিন্তু পড়াশোনার চাপে আর বলা হতোনা। এভাবে প্রায় দু-তিন মাস চলার পর তিস্তার কানে উড়ো খবর আসে যে নদী স্কুলের জন্য বেরিয়ে যায় তবে রোজ স্কুল যায়না,  tuition বাদ দিয়ে দেয়, আরো কত কী ! তিস্তা বিষয়টা প্রথমে নদীকে বললে ও তিস্তাকে আমল দেয়না। উল্টে রাগারাগি করে যে ও অন্যের কথায় গুরুত্ব দিয়েছে, তিস্তা ওকে sorry বলে আর নদী বলে এবারের জন্য মাফ করে দিলাম… 
এরপর একদিন তিস্তা নদীকে স্কুল ড্রেসে ওর বন্ধুদের সাথে বাইরে ঘুরতে দেখে তাও স্কুল টাইমে, প্রথমে নদীকেই বলবে ভাবলেও পরমুহূর্তে ও মত বদলে নদীর বাড়িতে বলে দেয়, স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি যাওয়ার পর নদী ধরা পরে যায় ও অনেক বকা খায় আর কোনোভাবে ও জানতে পারে যে এটা তিস্তাই ওর বাড়িতে বলেছে। 
সেদিন তিস্তা ঘরে বসে পড়ছিল তখনই দুম করে দরজা খোলার আওয়াজে ও তাকিয়ে দেখে নদী দাঁড়িয়ে আছে, তারপর এগিয়ে এসে নদী ওকে অনেক খারাপ কথা শোনায় সাথে এও বলে “আর কোনোদিন আমি তোকে দেখতে চাইনা, ঘেন্না করি আমি তোকে… চলে যা আর কখনো যেন আমার সামনে না আসিস |“ সেদিন খুব কেঁদেছিল তিস্তা, পরে অনেক চেষ্টা করেছে নদীর সাথে কথা বলার , সব ঠিক করে নেওয়ার, কিন্তু প্রতিবার চূড়ান্ত পর্যায়ের অপমানিত হয়ে ফিরত ও। তাও নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটিকে ফিরে পেতে ছুটে যেত বারবার, কখনো তো প্রতিটা কথা এত খারাপ হত, তিস্তা ভয় পেয়ে যেত, ভাবতো এ কোন নদী! শেষ যেদিন ওদের দেখা হয় সেদিন তিস্তা নদীর সাথে দেখা করতে, ওকে বোঝাতে ওদের প্রিয় জায়গায় যায়।একটি ঝিলের পারে, ওইদিন অবশ্য নদীই ওকে ডেকেছিল, সেখানে যাওয়ার পর তিস্তা দেখতে পায় কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচের বেদিতে নদী আর ওর বন্ধুরা বসে আছে।এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি ওরা দুজন ছোটবেলায় ওদের বাবাদের সাথে এসে লাগিয়েছিল, এই গাছের সাথে ওদের ছোটবেলা থেকে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।ও সামনে এগিয়ে যায় আর নদীকে ডাকে, সেদিন ও জানতো না যে ওর জন্য কি অপেক্ষা করছিলো! নদী আর ওর বন্ধুরা মিলে তিস্তাকে অনেক অপমান করে, তিস্তা সেদিন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিল।সেদিনের পর ও সরে আসে,  এরপর  উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলে joint entrance -এ ভালো রেজাল্ট করে engineering  -এ ভর্তি হয়ে বাইরে চলে যায় ও…তারপর আর কোনো খবর রাখেনি। পরে একদিন মায়ের থেকে শুনেছিল যে নদীরা নাকি পাড়া ছেড়ে অন্য কোথাও বাড়ি বানিয়ে চলে গেছে।সেই শেষ … তারপর আর কখনো ওদের দেখা হয়নি আর নতুন জীবনের চাপে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টাও করতে পারেনি।পুরোনো কথা ভাবতে ভাবতে সেদিন ঘুমিয়ে পড়লো তিস্তা…।

পরেরদিন বিকেলে…
স্কুল রিউনিউন আজ, তার জন্য নিজেকে বেগুনি রঙের শাড়ি, তারসাথে মিলিয়ে কিছু হালকা ও মানানসই গয়না ও প্রসাধনীতে নিজেকে সাজিয়েছে ও, এমনিতেই আজকাল শাড়ি পরা হয়না ওর, তারওপর সবাই মিলে রীতিমতো জোর করেছে সেজন্য এই সাজ।এরপর মা-বাবাকে বলে ও স্কুলের জন্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেল, ওখানে পৌঁছে গাড়িটা পার্ক করে বন্ধুদের ফোন করতে করতে  ভেতরে ঢুকছিল তিস্তা।হঠাৎ পেছন থেকে সেই চিরপরিচিত গলায় নিজের নামটা শুনে থমকে দাঁড়ালো সে… হ্যাঁ… যতই সাত বছর যোগাযোগ না থাকুক, সম্পর্ক না থাকুক… এই গলা এ জীবনে ভুলবে না ও…. -নদী । পেছনে ঘুরে আরো অবাক হয়ে গেল, এ যে ওর সেই ছেলেবেলা, কিশোরিবেলার সেই প্রিয় মানুষ, ওর খেলা, দুষ্টুমি, সুখ-দুঃখের একমাত্র সাথী …. কিন্তু তিস্তা অবাক হলো দেখে যে নদী এখন একজন বিবাহিতা স্ত্রী… 

-"এই তিস্তা কিরে !?"- নদীর ডাকে সম্বিৎ ফিরলো তিস্তার, হালকা হেসে বললো" কেমন আছিস?কী করছিস এখন? " 
নদী - "এইতো চলছে রে, এখন বিয়ে করে সংসার দেখছি আমি… এইতো চার বছর হলো বিয়ে হয়েছে… তুই বল তুই কী করিস এখন ?" 
" আমি ব্যাঙ্গালোরে থাকি এখন, চাকরি করছি" - তিস্তা, 
"বাহ! ভালো লাগলো শুনে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছিস…" - নদী 
এরপর কিছুক্ষনের নীরবতা কাটিয়ে তিস্তা বললো "ভেতরে চল, সবাই অপেক্ষা করছে",  বলে সে এগিয়ে গেলো তবে নদীর কথায় ও দাঁড়িয়ে পড়লো।
নদী বলে উঠলো- "তুই খুব সুন্দর হয়ে গেছিস রে তি, আগের সেই অগোছালো মেয়েটি নেই..." কথাটি শুনে তিস্তা শুধু মৃদু হাসলো আর “ভেতরে যেতে হবে” বলে এগিয়ে গেল… এরপরের সময়টা অন্যান্য পুরোনো আরো সব বন্ধুদের সাথে দেখা করে, দিদিমনিদের সাথে কথা বলে, অনুষ্ঠান দেখে ভালোই কাটলো প্রত্যেকের।

রাতে খাওয়ার পর তিস্তা স্টল থেকে আইসক্রিম নিতে গেল, তখন ওর পাশে নদীকে দেখে মৃদু হাসলো ও, আর লক্ষ করলো নদী কিছু বলার চেষ্টা করছে, তাই কোনো ভনিতা না করেই ও বললো " যা বলতে চাস বল নদী.. এত hesitate করার কিছুই নেই.. " তিস্তার কথা শুনে একটু চমকে গেল নদী, বুঝলো হয়তো তিস্তা বুঝেছে যে ও কি বলতে চায়! তাই আমতা আমতা করে বললো " আমায় সেদিনের জন্য ক্ষমা করে দে তিস্তা... সেদিন আমি অনেক বড়ো অন্যায় করেছিলাম। এমনকি তুই তারপরেও সব ঠিক করার চেষ্টা করেছিলি আর আমি তোকে অপমান করেছিলাম... আমি হয়তো খুব খারাপ করেছিলাম তি ... আমায় ক্ষমা করে দে... চল না, আমরা আগের মতো সবটা শুরু করি...সেই আগের তিস্তা-নদী ... " এতক্ষণ সবটা খুব মন দিয়ে শুনছিলো তিস্তা ,আর নদীর মুখের দিকে তাকিয়ে ওর মন বোঝার চেষ্টা করছিল,তবে শেষের কথা গুলো শুনে হেসেই দিলো ও। কিছু বলবে তার আগেই ওর সব বন্ধুরা ওদের কাছে চলে এলো, তাই ও আস্তে করে নদীকে বললো - " বাড়িতে ফিরতে দেরি হলে অসুবিধে হবে তোর ? "
 নদী বললো - " না হবে না গাড়ি এনেছি, ড্রাইভার আছে চলে যাবো " 
 তিস্তা - " বেশ, জানিয়ে দে তবে বাড়িতে, আমাদের সেই পুরোনো জায়গায় যাবো " 

এরপর তিস্তা আর নদী ওদের প্রিয় জায়গায় গেল। রাত তখন ন’টা।হালকা শীতের আমেজ আছে,নদীর পারে কৃষ্ণচূড়া গাছটার নীচে দাঁড়ালো  ওরা। যেখান থেকে ওদের বন্ধুত্বের শুরু,আবার সেখানেই সাত বছর আগে এই বন্ধুত্বের শেষ হয়েছিল ওদের, যাইহোক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে জায়গাটার সাথে।এই শহর ছাড়ার পর বাড়ি এলে এখানে প্রায়ই আসতো তিস্তা। আর নিজের কষ্ট, আনন্দ সব কৃষ্ণচূড়া গাছটাকে বলতো, কারণ ঔ যে তিস্তার বন্ধু।
 তিস্তা চুপ করে দাঁড়িয়েছিল, তখন নদী অধৈর্য হয়ে বলে উঠল, " তিস্তা বল না, প্লিজ..."
 ও হালকা হেসে নদীর দিকে ফিরে বললো - " সাতটা বছর নদী! জানিস রোজ ভাবতাম আমার ভুল কোথায়, নাকি আমারই ভুল ছিল... এই সাতবছরে এমন অনেক সময় এসেছিল যে তোকে কাছে পেতে চাইতাম, মনের কথা বলতে চাইতাম, কিন্তু সময় আর আত্মসম্মান আমাকে বারবার আটকে দিয়েছে যে, “কেন যাবি তুই চেষ্টা তো কম করিসনি আর সাথে অপমান পেয়েছিস”, এমনকি তোর বন্ধুরা আমার শিক্ষা নিয়েও আমায় অপমান করেছিল সেদিন ঠিক এখানেই... যাইহোক... আজকে তোর সাথে দেখা হওয়ার পরথেকে অনেক ভেবেছি জানিস আর এতবছর ধরে খুঁজে না পাওয়া অনেক প্রশ্নের উত্তর আমি পেয়েছি।তুই যখন সব আগের মতো হওয়ার কথা বললি,তখন মনে হলো আমরা সেই ছোট নেই দুজনই জীবনে অনেক এগিয়ে গেছি, সব পাল্টে গেছে আমাদের, তাও এত গভীর সম্পর্কের জন্য আমি সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম আমাদের বন্ধুত্বকে... বারবার ভাবলাম  যে সত্যিই কি দেওয়া উচিত ? কিন্তু সত্যিই যে সব আগের মতো হওয়া সম্ভব নয় রে... ওই খারাপ স্মৃতিগুলো আমার মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করেছিল, আমি নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম... অনেক সাধ্যসাধনা করে নিজেকে আজ এই জায়গায় এনেছি...  তুই এখনো আমার মনের সেই স্থানেই আছিস যেখানে সাতবছর আগে ছিলিস! তবে আবার আগের মতো হলে যে ভালো স্মৃতিগুলোর সাথে সব খারাপগুলোও সমান ভাবে মনে পড়বে, আর আমি সেটা চাইনা... তার চেয়ে এই ভালো আছি রে ! আবার এখানে এলে ঘুরতে যাবো আমরা, দেখা করবো- তবে আগের মতো কিছুই সম্ভব নয়,আমাদের বন্ধুত্বে যে ভালোর সাথে  খারাপটাও সমান ভাবে আছে, চল অনেক রাত হলো ... "- বলে চোখের কোণের জলটা মুছে এগিয়ে গেল তিস্তা।আর নদীকে বলে গেল - " ভালো থাকিস রে... আবার দেখা হবে হয়তো ",  নদীও আর কিছু না বলে এগিয়ে গেল। যেন এই কথাগুলো যা-যা তিস্তা বলে গেল... সব একদিন ওকে শুনতেই হতো... নদী গাড়িতে ওঠার আগে একবার পেছন ফিরে তিস্তাকে দেখলো...তবে তিস্তা এবার আর পেছনে ঘুরে তাকায়নি।
 অবশেষে ওর প্রিয় এই কৃষ্ণচূড়ার গাছটার নিচেই তিস্তার এতদিনের খুঁজে বেড়ানো প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেলো ! 
 চিরকালের বইমুখো তিস্তা একটি লেখা পড়েছিল আর আজ সেই লেখার মর্মার্থ বুঝতে পারলো ও …
" Sometimes in life, it is okay to say a 'No'… It is good to choose yourself over someone else, because it is not important for you to stay with someone who is toxic or harmful for you, it is really justified and important to stay away from those people or things. Ultimately, self-love is important, because the people who do not love themselves cannot love others… "   
আজ তিস্তার মুখে প্রশান্তির হাসি, হয়তো তিস্তা-নদীর বন্ধুত্বের এখানেই যবনিকাপতন হলো।তবে  সাতবছর ধরে তিস্তার মনে যে বোঝা ছিল সেটা এবার পুরোপুরি শেষ হলো | ধীরেধীরে অস্পষ্ট হয়ে চোখের আড়ালে মিলিয়ে গেল তিস্তা…|